কোষ কাকে বলে :
বৈষম্যভেদ্য পর্দা দ্বারা আবৃত এবং জীবজ ক্রিয়াকলাপের একক যা অন্য সজীব মাধ্যম ছাড়াই নিজের প্রতিরূপ তৈরি করতে সক্ষম তাকে কোষ বলে ।
নিউক্লিয়াসের ভিত্তিতে কোষ দুই প্রকার :
১) আদি কোষ: Prokaryotic cell
যে কোষে সুগঠিত নিউক্লিয়াস থাকে না তাকে আদি কোষ বলে।
যেমন- ব্যাকটেরিয়া ও সায়ানোব্যাকটেরিয়ার কোষ
২) প্রকৃত কোষ : Eukaryotic Cell
যে কোষে সুগঠিত নউক্লিয়াস থাকে তাকে প্রকৃত কোষ বলে।
যেমন- সকল উদ্ভিদ ও প্রানীর কোষ
আদিকোষ ও প্রকৃত কোষের মধ্যে পার্থক্য
১/ আদিকোষে সুগঠিত নিউক্লিয়াস থাকে না কিন্তু প্রকৃত কোষে সুগঠিত নিউক্লিয়াস থাকে।
২/ আদি কোষে DNA বৃত্তাকার কিন্তু প্রকৃত কোষে DNA সুত্রাকার
৩/ আদি কোষে রাইবোজোম ব্যতীত অন্য কোন অঙ্গাণু থাকে না কিন্তু প্রকৃত কোষে রাইবোজোম সহ সকল অঙ্গানু বিদ্যমান
৪/ আদিকোষে রাইবোজোম 70S ধরনের কিন্তু প্রকৃত কোষে রাইবোজোম 80S ধরনের
৫/ আদি কোষে সাইটোস্কেলিটন অর্থাৎ কোষ কঙ্কাল থাকে না কিন্তু প্রকৃত কোষে সাইটোস্কেলিটন থাকে
৬/ আদি কোষে RNA পলিমারেজ থাকে একপ্রকার কিন্তু প্রকৃত কোষে তিন প্রকার আল RNA পলিমারেজ বিদ্যমান
৭/ আদিকোষে অপেরণ থাকে কিন্তু প্রকৃত কোষে অপেরন থাকেনা
৮/ আদি কোষে ইন্ট্রন থাকেনা কিন্তু প্রকৃত কোষে ইনট্রন বিদ্যমান
৯/ আদিকোষ এমাইটোসিস প্রক্রিয়ায় বিভাজিত হয় কিন্তু প্রকৃত কোষ মাইটোসিস ও মিয়োসিস প্রক্রিয়ায় বিভাজিত হয়
১০/ আদি কোষে অবাত শ্বসন ঘটে কিন্তু প্রকৃত কোষে সবাত শ্বসন ঘটে
১১/ আদিকোষে ট্রান্সক্রিপশন এর সাথে সাথেই ট্রান্সলেশন শুরু হয় কিন্তু প্রকৃত কোষে ট্রান্সক্রিপশন এর পর বেশ বিলম্বে ট্রান্সলেশন শুরু হয়
বিস্তারিত এই ভিডিওতে -
Website: Biology Helpline
স্বাস্থ্য সুরক্ষায়