SSC Biology chapter 1
জীবন পাঠ নোট
Chapter 1 MCQ
জীববিজ্ঞানের ধারণা
জীববিজ্ঞান - Biology
উদ্ভিদ বিজ্ঞান - Botany বা Phytology
প্রানি বিজ্ঞান - Zoology
# জীববিজ্ঞানের জনক- গ্রিক দার্শনিক এরিস্টটল
জীববিজ্ঞানের শাখাগুলো
ভৌত জীববিজ্ঞান
জীববিজ্ঞানের এই শাখাগুলোতে তত্ত্বীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়
ফলিত জীববিজ্ঞান
জীববিজ্ঞানের এই শাখাগুলোতে প্রায়োগিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়
জীবের শ্রেণীবিন্যাস
পৃথিবীতে উদ্ভিদের প্রজাতি সংখ্যা - প্রায় চার লক্ষ
পৃথিবীতে প্রানীর প্রজাতি সংখ্যা - প্রায় তের লক্ষ
শ্রেণিবিন্যাসের জনক - ক্যারোলাস লিনিয়াস
ক্যারোলাস লিনিয়াস সুইডিশ প্রকৃতি বিজ্ঞানী
সুইডিস = সুইডেনের
ক্যারোলাস লিনিয়াস এনাটমির অধ্যাপক ছিলেন
ক্যারোলাস লিনিয়াস অধ্যাপনা করেছিলেন আপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ে
শ্রেণিবিন্যাসের উদ্দেশ্য
১/ প্রতিটি জীবের দল-উপদল সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণ করা
২/ জীবজগতের ভিন্নতার দিকে আলোকপাত করে আহরিত জ্ঞানকে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা
৩/ পূর্ণাঙ্গ জ্ঞানকে সংক্ষিপ্ত ভাবে উপস্থাপন করা
৪/ প্রতিটি জীবকে শনাক্ত করে তার নামকরণের ব্যবস্থা করা
৫/ জীবজগৎ এবং মানবকল্যাণে প্রয়োজনীয় জীবগুলোকে শনাক্ত করে তাদের সংরক্ষণে সচেতন হওয়া
জীবজগৎ
মারগুলিস জীবদেরকে দুটি সুপার কিংডমে বিভক্ত করেন 1974 সালে
১/ প্রোক্যারিওটা : Prokaryota
আদিকোষী জীবগুলো এই সুপার কিংডমের অন্তর্ভুক্ত
২/ ইউক্যারিওটা : Eukaryota
প্রকৃত কোষী জীবগুলো এই সুপার কিংডমের অন্তর্ভুক্ত
আদিকোষ :
যে কোষে সুগঠিত নিউক্লিয়াস থাকে না
প্রকৃত কোষ :
যে কোষে সুগঠিত নিউক্লিয়াস থাকে
আর এইচ হুইট্টেকার জীবদেরকে পাঁচটি রাজ্য বা জগতে বিভক্ত করেন 1969 সালে
রাজ্য ১ : মনেরা
ফিলামেন্ট : একটির পর একটি কোষ লম্বালম্বিভাবে যুক্ত হয়ে লম্বা ফিতার ন্যায় গঠন সৃষ্টি হলে তাকে বলা হয় ফিলামেন্ট
কলোনিয়াল :
অনেকে এক সঙ্গে দলবদ্ধ ভাবে বাস করে
ব্যাকটেরিয়া ও সায়ানোব্যাকটেরিয়ায় (নীলাভ সবুজ শৈবালে) এই জগতের অন্তর্ভুক্ত
মনেরা রাজ্যের বৈশিষ্ট্য সমূহ -
১/ এরা এককোষী, ফিলামেন্টাস, কলোনিয়াল ।
২/ কোষে ক্রোমাটিন বস্তু থাকে কিন্তু নিউক্লিওলাস ও নিউক্লিয়ার পর্দা নেই ।
৩/ এদের কোষে প্লাস্টিড, মাইটোকনড্রিয়া, এন্ডোপ্লাজমিক জালিকা ইত্যাদি নেই, কিন্তু রাইবোজোম আছে।
৪/ কোষ বিভাজন দ্বিবিভাজন প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয়।
৫/ প্রধানত শোষণ পদ্ধতিতে খাদ্য গ্রহণ করে। তবে কেউ কেউ সালোকসংশ্লেষণ পদ্ধতিতে খাদ্য প্রস্তুত করে।
রাজ্য ২ : প্রোটিস্টা
কনজুগেশন :
এক প্রকার যৌন প্রজনন। গাঠনিকভাবে এক কিন্তু জৈবনিকভাবে ভিন্ন এইরূপ দুটি গ্যামেটের মিলনের মাধ্যমে এই যৌন প্রজনন সম্পন্ন হয়। কনজুগেশন হয় শৈবালে
প্রোটিস্টা রাজ্যের বৈশিষ্ট্য সমূহ :
১/ এরা প্রকৃতকোষী অর্থাৎ সুগঠিত নিউক্লিয়াস বিশিষ্ট।
২/ এরা এককোষী বা বহুকোষী, একক বা কলোনিয়াল বা ফিলামেন্টাস।
৩/ কোষে ক্রোমাটিন বস্তু নিউক্লিয়ার পর্দা দ্বারা বেষ্টিত থাকে।
৪/ ক্রোমাটিন বস্তু তে ডিএনএ আরএনএ এবং প্রোটিন থাকে
৫/ কোষে সকল ধরনের অঙ্গাণু থাকে।
৬/ খাদ্য গ্রহণ শোষণ, গ্রহণ বা ফটোসিন্থেসিস পদ্ধতিতে ঘটে।
৭/ মাইটোসিস কোষ বিভাজনের মাধ্যমে অযৌন প্রজনন ঘটে।
৮/ কনজুগেশন এর মাধ্যমে যৌন প্রজনন ঘটে।
৯/ কোন ভ্রুন গঠিত হয় না।
রাজ্য ৩ : ফানজাই
মাইসেলিয়াম :
ছত্রাকের সরু সুতার মত দেহ
ফানজাই রাজ্যের বৈশিষ্ট্য সমূহ -
১/ এরা প্রকৃত কোষী অর্থাৎ সুগঠিত নিউক্লিয়াস বিশিষ্ট।
২/ অধিকাংশই স্থলজ মৃতজীবী বা পরজীবী।
৩/ দেহ এককোষী অথবা মাইসেলিয়াম দিয়ে গঠিত।
৪/ কোষপ্রাচীরের প্রধান উপাদান কাইটিন ।
৫/ খাদ্য গ্রহণ শোষণ পদ্ধতিতে ঘটে।
৬/ ক্লোরোপ্লাস্ট অনুপস্থিত।
৭/ হ্যাপ্লয়েড স্পোর দিয়ে বংশ বৃদ্ধি ঘটে।
রাজ্য ৪ : প্লানটি
আর্কিগোনিয়েট :
যেসব উদ্ভিদে স্ত্রীজনন অঙ্গ আর্কিগোনিয়াম সৃষ্টি হয়, তাদেরকে আর্কিগোনিয়েট বলে ।
# আর্কিগোনিয়াম :
অপুষ্পক উদ্ভিদের স্ত্রীজনন অঙ্গকে আর্কিগোনিয়াম বলে ।
# সপুষ্পক উদ্ভিদের জনন অঙ্গের নাম কী ?
ফুল
প্লান্টি রাজ্যের বৈশিষ্ট্য সমূহ -
১/ এরা প্রকৃতকোষী অর্থাৎ সুগঠিত নিউক্লিয়াস বিশিষ্ট।
২/ এরা সালোকসংশ্লেষণকারী উদ্ভিদ।
৩/ এদের দেহে উন্নত টিস্যুতন্ত্র বিদ্যমান।
৪/ এদের ভ্রুন সৃষ্টি হয় এবং তা থেকে ডিপ্লয়েড পর্যায় শুরু হয়।
৫/ এদের যৌন জনন অ্যানাইসোগ্যামাস ধরনের।
৬/ কিছু উদ্ভিদ আর্কিগোনিয়েট অর্থাৎ তাদের দেহে আর্কিগোনিয়াম সৃষ্টি হয়। যেমন মস, ফার্ন ও নগ্নবীজী উদ্ভিদ
৭/ আবৃতবীজী উদ্ভিদগুলো সপুষ্পক অর্থাৎ তাদের দেহে ফুল সৃষ্টি হয়
রাজ্য ৫ : অ্যানিমেলিয়া :
অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের বৈশিষ্ট্য সমূহ -
১/ এরা প্রকৃতকোষী বহুকোষী প্রাণী ।
২/ এদের কোষে কোন কোষ প্রাচীর, প্লাস্টিড ও কোষ গহ্বরের নেই।
৩/ প্লাস্টিড না থাকায় এরা পরভোজী এবং খাদ্য গলাধঃকরণ করে।
৪/ এদের দেহে জটিল টিস্যুতন্ত্র বিদ্যমান।
৫/ এরা প্রধানত যৌন জনন এর মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি করে।
৬/ পরিণত ডিপ্লয়েড পুরুষ এবং স্ত্রী প্রাণীর জননাঙ্গে হ্যাপ্লয়েড গ্যামেট উৎপন্ন হয়।
৭/ ভ্রুন বিকাশ কালীন সময়ে ভ্রুনীয় স্তর সৃষ্টি হয়।
প্রাণীদের ভ্রূণে তিনটি স্তর সৃষ্টি হয় - এক্টোডার্ম, মেসোডার্ম ও এন্ডোডার্ম
প্রোটোজোয়া ব্যতীত সকল মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণী অ্যানিমেলিয়া রাজ্য অন্তর্ভুক্ত।
এককোষী প্রাণীদেরকে বলা হয় প্রোটোজোয়া।
শ্রেণিবিন্যাসের বিভিন্ন ধাপ :
শ্রেণিবিন্যাসের প্রধান ধাপ সাতটি -
রাজ্য - Kingdom
পর্ব - Phylum
শ্রেণী - Class
বর্গ - Order
গোত্র - Family
গণ - Genus
প্রজাতি - Species
দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতি :
দুটি পদ নিয়ে কোন জীবের নামকরণের প্রক্রিয়াকে দ্বিপদ নামকরণ বলে।
দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতি প্রবর্তন করেন সুইডিশ বিজ্ঞানী ক্যারোলাস লিনিয়াস 1753 সালে।
দ্বিপদ নামকরণের নিয়মাবলী -
১/ নামকরণ ল্যাটিন ভাষায় কিংবা ল্যাটিন ভাষার মতো করে উপস্থাপন করতে হবে।
২/ বৈজ্ঞানিক নামের দুটি অংশে থাকবে প্রথম অংশটি গণ নাম এবং দ্বিতীয় অংশটি প্রজাতি নাম হবে।
৩/ জীব জগতের প্রতিটি বৈজ্ঞানিক নাম অনন্য হতে হবে।
৪/ বৈজ্ঞানিক নামের প্রথম অংশের প্রথম অক্ষর বড় হাতের অক্ষর হবে বাকি অক্ষর গুলো ছোট হাতের অক্ষর হবে এবং দ্বিতীয় অংশটির নাম ছোট অক্ষর দিয়ে লিখতে হবে।
৫/ বৈজ্ঞানিক নাম মুদ্রণের সময় সর্বদা ইটালিক অক্ষরে লিখতে হবে।
৬/ হাতে লেখার সময় গণ ও প্রজাতিক নামের নিচে আলাদা আলাদা দাগ দিতে হবে।
৭/ যদি কয়েকজন বিজ্ঞানী একই জীবের বিভিন্ন নামকরন করেন, তবে অগ্রাধিকার আইন অনুসারে প্রথম বিজ্ঞানী কর্তৃক প্রদত্ত নামটি গৃহীত হবে।
৮/ যিনি প্রথম কোন জীবের বিজ্ঞানসম্মত নাম দিবেন তার নাম প্রকাশের সাল সহ উক্ত জীবের বৈজ্ঞানিক নামের শেষে সংক্ষেপে সংযোজন করতে হবে।
# জীবদেরকে পাচটি জগতে বিভক্ত করেছিলেন কে -
আর এইচ হুইটেকার
# জীবদেরকে দুটি সুপার কিংডমে বিভক্ত করেছিলেন কে -
মারগুলিস
# ক্যারোলাস লিনিয়াস কোন বিষয়ের অধ্যাপক ছিলেন ?
অ্যানাটমি
# সকল কোষে কোন কোষীয় অঙ্গানুটি বিদ্যমান ?
রাইবোজোম
# প্রোটোজোয়া কী ?
এক কোষী প্রানি
# এক কোষী প্রানিরা কোন জগতের অর্ন্তভূক্ত ?
প্রোটিস্টা
# Species plantarum গ্রন্থের লেখক কে ?
ক্যারোলাস লিনিয়াস
# কোন গ্রন্থের মাধ্যমে প্রথম দ্বিপদ নামকরন পদ্ধতি প্রবর্তন করা হয় ?
Species plantarum
আরও দেখুন - Chapter 2 Notes
Website: Biology Helpline
স্বাস্থ্য সুরক্ষায়