SSC Biology chapter 5
খাদ্য, পুষ্টি এবং পরিপাক নোট
SSC Biology chapter 5 MCQ
উদ্ভিদের খনিজ পুষ্টি
খনিজ পুষ্টি কাকে বলে ?
উদ্ভিদ তার পুষ্টি উপাদানের অধিকাংশই মাটি থেকে সংগ্রহ করে। তাই এগুলোকে খনিজ পুষ্টি বলে
অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টি উপাদান কাকে বলে ?
16 টি পুষ্টি উপাদান সব ধরনের উদ্ভিদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি শারীরবৃত্তীয় কাজ এবং প্রজননের জন্য প্রয়োজন এদের যে কোন একটির অভাব হলে উদ্ভিদের তার অভাবজনিত লক্ষণ দেখা দেয় এবং পুষ্টির অভাবজনিত রোগের সৃষ্টি হয় পুষ্টি উপাদান অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টি উপাদান বলে
# উদ্ভিদের অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টি উপাদান কয়টি ?
১৬ টি
অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টি উপাদানগুলো দুই ভাগে বিভক্ত
ম্যাক্রো নিউট্রিয়েন্ট বা ম্যাক্রো উপাদান
উদ্ভিদের স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য যেসব উপাদান বেশি পরিমাণে দরকার হয় সে গুলোকে ম্যাক্রো নিউট্রিয়েন্ট ও মাইক্রো উপাদান বলে
ম্যাক্রো উপাদান দশটি। যথা - নাইট্রোজেন, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, সালফার, লৌহ
মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট বা মাইক্রো উপাদান
উদ্ভিদের স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য যেসব উপাদান অত্যন্ত যায়সামান্য পরিমাণে প্রয়োজন তাদেরকে মাইক্রো নিউট্রিয়েন্ট ও মাইক্রো উপাদান বলে
মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট 6 টি । যথা - জিংক, ম্যাঙ্গানিজ, মলিবডেনাম, বোরন, কপার, ক্লোরিন
পুষ্টি উপাদানের উৎস
উদ্ভিদ পরিবেশ থেকে তার পুষ্টি উপাদান গুলোকে আয়ন হিসেবে শোষণ করে
আয়ন :
চার্জযুক্ত পরমাণুকে আয়ন বল
পুষ্টি উপাদানের অভাবজনিত লক্ষণ -
ডাইব্যাক রোগ :
এই রোগে উদ্ভিদের মূল কান্ড এবং পাতার শীর্ষ থেকে শুরু করে পর্যায়ক্রমে টিস্যু মারা যেতে থাকে
# ডাইবেক রোগ হয় কিসের অভাবে ?
সালফার
প্রাণীর খাদ্য ও পুষ্টি
খাদ্যের প্রধান উপাদান ও তার উৎস
খাদ্যের পুষ্টি উপাদান ৬টি
এর মধ্যে তিনটি উপাদানের পরিপাক হয় - শর্করা, আমিষ ও স্নেহ
আর তিনটি উপাদানের পরিপাক হয় না - ভিটামিন, খনিজ লবণ ও পানি
আমিষ : Protein
আমিষ কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন দিয়ে গঠিত জৈব যৌগ ।
আমিষে মধ্যে শতকরা 16 ভাগ নাইট্রোজেন থাকে।
শর্করা : Carbohydrate
শর্করা কার্বন হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন দিয়ে গঠিত জৈব যৌগ
স্নেহ : Lipid
খাদ্যপ্রাণ বা ভিটামিন
চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিন - ভিটামিন A, ভিটামিন D, ভিটামিন E, ভিটামিন K
পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন - ভিটামিন B, ভিটামিন C
পানি
একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈহিক ওজনের 50% - 60% পানি
খাদ্যআঁশ বা রাফেজ
রাফেজ বা খাদ্য আঁশে কোন পুষ্টি উপাদান নেই। তবে তা পানি শোষণ করে এবং মলের পরিমান বৃদ্ধি করে এবং বৃহদন্ত্র থেকে মল নিষ্কাশনে সাহায্য করে
পুষ্টির অভাবজনিত রোগ
গয়টার
এই রোগে থাইরয়েড গ্রন্থি ফুলে যায় ।
থাইরয়েড গ্রন্থি গলায় অবস্থিত।
ইহা একটি অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি।
এই গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয় থাইরক্সিন নামক হরমোন ।
থাইরয়েড গ্রন্থি দেহের বিপাক ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে
রাতকানা
ভিটামিন A এর অভাবজনিত চোখের রোগ জেরোফ্থ্যালমিয়া।
জেরোফ্থ্যালমিয়ার সর্বনিম্ন মাত্রা হচ্ছে রাতকানা
2 থেকে 5 বছরের শিশুদের মধ্যে এই রোগ বেশি দেখা দেয়।
রোগী অল্প আলোতে ভালো দেখতে পায় না। চোখে সবকিছু ঝাপসা দেখা যায়।
চোখের রেটিনাতে রড কোষ এবং কোন কোষ থাকে।
রিকেটস
রিকেটস রোগ হয় ভিটামিন D এর অভাবে।
এই রোগের লক্ষণ হলো -
দেহের হাড় গুলো দুর্বল হয়
গিট ফুলে যায়
পায়ের হাড় বেঁকে যায়
রক্তশূন্যতা
রক্তশূন্যতার লক্ষণ সমূহ -
দুর্বলতা অনুভব করা
মাথাব্যথা
মনমরা ভাব
অনিদ্রা
চোখে অন্ধকার দেখা
খাওয়ার অরুচি
বুক ধড়ফড় করা
পুষ্টি উপাদানের শক্তি
1 গ্রাম শর্করা থেকে পাওয়া যায় 4 খাদ্য ক্যালরি শক্তি
1 গ্রাম আমিষ থেকে পাওয়া যায় 4 খাদ্য ক্যালরি শক্তি
1 গ্রাম চর্বি থেকে পাওয়া যায় 9 খাদ্য ক্যালরি শক্তি
1 খাদ্য ক্যালরি = 1 কিলোক্যালরি = 4.2 কিলোজুল
মৌল বিপাক শক্তি :
বিএমআর এবং বি এম আই
BMR = Basal Metabolic Rate
BMI = Body Mass Index
শরীরচর্চা ও বিশ্রাম
খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণে রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার
পরিপাক
# পরিপাক : digestion
যে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় জটিল খাদ্যবস্তু ভেঙ্গে দেহের শোষন উপযোগি সরল উপাদানে পরিনত হয়, তাকে পরিপাক বলে।
# পেরিস্টালসিস (Peristalsis) :
পৌষ্টিক নালির দেয়ালের পেশির পর্যায়ক্রমিক সংকোচন প্রসারনের ফলে খাদ্যবস্তু মুখগহ্বর থেকে অন্ননালি হয়ে পায়ুর দিকে অগ্রসর হয়, এই প্রক্রিয়াকে পেরিস্টালসিস বলে।
# ভিলাই (Villi) :
ক্ষুদ্রান্ত্রের ভিতরের দেয়াল থেকে সৃষ্ট আঙ্গুলের ন্যায় অভিক্ষেপকে ভিলাই বলে ।
# মাইক্রোভিলাই (Microvilli) :
কোষ ঝিল্লির ভাজকে মাইক্রোভিলাই বলে ।
# কাইম (Chyme) :
পাকস্থলির যান্ত্রিক চাপে পিষ্ট অর্ধপাচিত খাবারের সাথে গ্যাস্ট্রিক জুস মিশ্রিত হয়ে ঘন সুপের মতো মিশ্রন সৃষ্টি হয় । খাদ্যের এই অবস্থাকে কাইম বলে।
পৌষ্টিকতন্ত্র দুই ভাগে বিভক্ত - পৌষ্টিক নালী ও পৌষ্টিক গ্রন্থি
পৌষ্টিক নালী
পৌষ্টিক নালীর অংশসমূহ -
মুখছিদ্র - Mouth
মুখগহ্বর - Buccal cavity
গলবিল - Pharynx
অন্ননালী - Oesophagus
পাকস্থলী - Stomach
ক্ষুদ্রান্ত্র - Small Intestine
বৃহদন্ত্র - Large Intestine
পায়ু - Anus
পৌষ্টিক গ্রন্থি
১/ লালাগ্রন্থি
লালাগ্রন্থি তিন জোড়া -
প্যারোটিড - কানের সামনে ও নিচে
সাব মেন্ডিবুলার - নিচের চোয়ালের ভিতরের দিকে
সাব লিঙ্গুয়াল - জিহ্বার নিচে
২/ যকৃত
যকৃত মানবদেহের বৃহত্তম গ্রন্থি । এটি ডায়াফ্রামের নিচে অবস্থিত
৩/ অগ্নাশয়
অগ্নাশয় একটি মিশ্র গ্রন্থি । এর বহিক্ষরা অংশ থেকে খাদ্য পরিপাকের জন্য প্রয়োজনীয় এনজাইম নিঃসৃত হয়। আর অন্তঃক্ষরা অংশ থেকে বিভিন্ন প্রকার হরমোন নিঃসৃত হয়
৪/ গ্যাস্ট্রিক গ্রন্থি
পাকস্থলীর ভিতরের দেয়ালে গ্যাস্ট্রিক গ্রন্থি গুলো বিদ্যমান
৫/ আন্ত্রিক গ্রন্থি
আন্ত্রিক গ্রন্থি গুলো বিদ্যমান ক্ষুদ্রান্ত্রের দেয়ালে
মুখে পরিপাক
মুখে শুধু শর্করা জাতীয় খাদ্য পরিপাক হয়।
এই পরিপাকে টায়ালিন ও মল্টেজ নামক এনজাইম অংশগ্রহণ করে
পাকস্থলীতে পরিপাক
পাকস্থলীতে শুধু আমিষ জাতীয় খাদ্য পরিপাক হয়
ক্ষুদ্রান্ত্রে পরিপাক
ক্ষুদ্রান্তে শর্করা, আমিষ, স্নেহ এই তিন ধরনের খাদ্যই পরিপাক হয়
পরিপাককৃত খাদ্য শোষণ
# লসিকা (Lymph) :
কোন টিস্যুর কোষের ফাকে ফাকে অবস্থিত বর্নহীন তরল পদার্থকে লসিকা বলে ।
# ল্যাকটিয়েল (Lacteal) :
ভিলাই এর ভিতরে বিদ্যমান লসিকা নালিকে ল্যাকটিয়েল বলে।
আন্ত্রিক সমস্যা
বিভিন্ন প্রকার রোগজীবাণু বা পরজীবীর সংক্রমণ এবং জীবনাচরণের ভুলে আমাদের পৌষ্টিক নালীতে নানা রকম সমস্যার সৃষ্টি হয়
অজীর্ণতা
খাবার যথাযথভাবে পরিপাক হয় না
আমাশয়
দুই ধরনের জীবাণু সংক্রমণ এ আমাশয় রোগ হয় -
Entamoeba নামক প্রোটোজোয়া
শিগেলা নামক ব্যাকটেরিয়া
কোষ্ঠকাঠিন্য
স্বাভাবিকভাবে নিয়মিত মলত্যাগ করতে পারেনা । মলত্যাগ করা কঠিন হয়ে যায়
এপেন্ডিসাইটিস
অ্যাপেন্ডিক্স এর প্রদাহ কে বলা হয় এপেন্ডিসাইটিস।
ক্ষুদ্রান্ত্র ও বৃহদন্ত্রের সংযোগস্থলে বৃহদন্ত্রের সিকামের সাথে যুক্ত আংগুলের ন্যায় বর্ধিত উপাঙ্গকে বলা হয় অ্যাপেন্ডিক্স।
অ্যাপেন্ডিক্স এর অবস্থান তলপেটের ডান দিকে।
কৃমি জনিত রোগ
গোলকৃমি নেমাটোডা পর্বের প্রাণী।
এগুলো অন্তঃপরজীবী হিসেবে আমাদের পৌষ্টিক নালীর ভিতরে বাস করে।
পরিপাক ক্রিয়ার শেষে যে খাদ্য সার উৎপন্ন হয়, কৃমি সেই খাদ্যসার শোষণ করে
Chapter 6 Notes
Website: Biology Helpline
স্বাস্থ্য সুরক্ষায়