SSC Biology chapter 11
জীবের প্রজনন নোট
Chapter 11 MCQ
প্রজনন
যে প্রক্রিয়ায় কোন জীব তার বংশধর সৃষ্টি করে, তাকে প্রজনন বলে ।
জীবে প্রজননের ধারণা ও গুরুত্ব
প্রজনন প্রধানত দুই প্রকার - যৌন প্রজনন এবং অযৌন প্রজনন
# যৌন প্রজনন : Sexual reproduction
দুই প্রকার বিপরীতধর্মী জনন কোষের মিলনের মাধ্যমে যে প্রজনন সম্পন্ন হয়, তাকে যৌন প্রজনন বলে।
# অযৌন প্রজনন : Asexual reproduction
জনন কোষের মিলন ছাড়াই যে প্রজনন সম্পন্ন হয়, তাকে অযৌন প্রজনন বলে ।
# সহবাসী উদ্ভিদ : Monoecious plant
যেসব উদ্ভিদের একই দেহে দুই প্রকার জনন কোষ উৎপন্ন, তাদেরকে সহবাসী উদ্ভিদ বলে ।
# ভিন্নবাসী উদ্ভিদ : Diecious plant
যেসব উদ্ভিদের দুই প্রকার জনন কোষ আলাদা দেহে সৃষ্টি হয়, তাদেরকে ভিন্নবাসী উদ্ভিদ বলে।
# বিটপ :
উদ্ভিদের মূল ব্যতীত বাকি সম্পূর্ন অংশ অর্থাৎ উদ্ভিদের মাটির উপরের সম্পূর্ন অংশকে বিটপ বলে।
জীবের প্রজননের ধারনা বিস্তারিত এই ভিডিওতে -
উদ্ভিদের প্রজনন :
প্রজনন অঙ্গ : ফুল
সম্পূর্ণ ফুল :
যে ফুলে সবগুলো স্তবক থাকে । যেমন জবা ফুল
অসম্পূর্ণ ফুল :
যে ফুলে সবগুলো স্তবক থাকে না। যেমন কুমড়া ফুল
সবৃন্তক ফুল :
যে ফুলে বৃন্ত থাকে । যেমন- জবা
অবৃন্তক ফুল :
যে ফুলে বৃন্ত থাকেনা । যেমন- রজনীগন্ধা
উভলিঙ্গ ফুল : Bisexual flower
যে ফুলে পুং স্তবক এবং স্ত্রী স্তবক দুটোই থাকে
একলিঙ্গ ফুল : Unisexual flower
যে ফুলে পুংস্তবক অথবা স্ত্রী স্তবক থাকে
যেমন- কুমড়ার পুরুষ ফুল বা স্ত্রী ফুল
ক্লীব ফুল : Neuter flower
যে ফুলে পুংস্তবক ও স্ত্রী স্তবকের কোনটিই থাকে না । যেমন সূর্যমুখীর রে পুষ্পিকা
ফুলের বিভিন্ন অংশ
একটি আদর্শ ফুলের পাঁচটি স্তবক -
পুষ্পাক্ষ : Thalamus
ফুলের যে অক্ষের উপরে বাকি চারটি স্তবক অবস্থান করে
বৃতি : Calyx
বৃতির প্রতিটি খণ্ডকে বৃত্যাংশ বলে
দলমন্ডল : Corolla
দল মন্ডল এর প্রতিটি সদস্যকে পাপড়ি বলে
পুং স্তবক : Androecium
পুংস্তবক এর প্রতিটি সদস্যকে পুংকেশর (Stamen) বলে
একটি পুংকেশরের দুইটি অংশ -
পরাগদন্ড - Filament
পরাগধানী - Anther
স্ত্রী স্তবক : Gynoecium
স্ত্রী স্তবক এর প্রতিটি সদস্যকে স্ত্রীকেশর বা গর্ভকেশর বা গর্ভপত্র (Carpel) বলে ।
স্ত্রীকেশরের তিনটি অংশ -
গর্ভাশয় - Ovary
গর্ভ দণ্ড - Style
গর্ভমুণ্ড - Stigma
পুষ্পমঞ্জরি : Inflorescence
কোন দন্ডের সাথে কতগুলো ফুল সজ্জিত থাকলে সেই দন্ডসহ ফুলগুলোকে একত্রে পুষ্পমঞ্জরি বলে
পরাগায়ন : Pollination
ফুলের পরাগধানী থেকে পরাগরেনু গর্ভমুন্ডে স্থানান্তরিত হওয়ার প্রক্রিয়াকে পরাগায়ন বলে ।
পরাগায়ন দুই প্রকার স্ব-পরাগায়ন এবং পর-পরাগায়ন
স্ব-পরাগায়ন : Self pollination
একই ফুলে বা একই গাছের দুটি ফুলের মধ্যে যখন পরাগায়ন ঘটে, তখন তাকে স্বপরাগায়ন বলে।
স্বপরাগায়ন এর সুবিধা :
১/ পরাগরেণুর অপচয় কম হয়
২/ পরাগায়নের জন্য বাহক এর উপর নির্ভর করতে হয় না
৩/ পরাগায়ন নিশ্চিত হয়
৪/ উৎপন্ন উদ্ভিদে বৈশিষ্ট্যের কোনো পরিবর্তন আসে না
৫/ কোন একটি প্রজাতির চরিত্রগত বিশুদ্ধতা বজায় থাকে।
স্বপরাগায়ন এর অসুবিধা :
১/ এতে জিনগত বৈচিত্র কম থাকে
২/ বীজ থেকে জন্ম নেওয়া নতুন গাছের অভিযোজন ক্ষমতা কমে যায়
৩/ অচিরেই প্রজাতির বিলুপ্তি ঘটে
পর- পরাগায়ন : Cross pollination
একই প্রজাতির দুটি ভিন্ন উদ্ভিদের ফুলের মধ্যে যখন পরাগায়ন ঘটে, তখন তাকে পর-পরাগায়ন বলে
পর পরাগায়নের সুবিধা :
১/ পর পরাগায়নের ফলে নতুন চরিত্রের সৃষ্টি হয়
২/ বীজের অঙ্কুরোদগমের হার বৃদ্ধি পায়
৩/ বীজ অধিক জীবনীশক্তি সম্পন্ন হয়
৪/ নতুন প্রজাতির সৃষ্টি হয়
পর পরাগায়নের অসুবিধা :
১/ এটি বাহক নির্ভর প্রক্রিয়া হওয়ায় পরাগায়নের নিশ্চয়তা থাকে না
২/ এতে প্রচুর পরাগরেণুর অপচয় ঘটে
৩/ প্রজাতির বিশুদ্ধতা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে
পরাগায়নের মাধ্যম
যে মাধ্যম পরাগধানী থেকে পরাগরেণু বহন করে গর্ভমুণ্ড পর্যন্ত নিয়ে যায় তাকে পরাগায়নের মাধ্যম বলে
পরাগায়নের মাধ্যমের ভিত্তিতে ফুল চার প্রকার
১/ পতঙ্গ পরাগী ফুল : জবা, কুমড়া, সরিষা
২/ বায়ুপরাগী ফুল : ধান
৩/ পানিপরাগী ফুল : পাতাশেওলা
৪/ প্রাণীপরাগী ফুল : কদম, শিমুল, কচু
পতঙ্গ পরাগী ফুলের বৈশিষ্ট্য :
১/ ফুল বড়, রঙ্গিন ও মধুগ্রন্থি যুক্ত
২/ পরাগরেণু ও গর্ভমুণ্ড আঠালো
৩/ ফুল সুগন্ধযুক্ত
বায়ু পরাগী ফুলের বৈশিষ্ট্য :
১/ ফুল হালকা এবং মধুগ্রন্থিহীন
২/ এসব ফুলের সুগন্ধ নেই
৩/ পরাগরেণু সহজেই বাতাসে ভেসে যেতে পারে
৪/ এদের গর্ভমুণ্ড আঠালো এবং শাখান্বিত, কখনো পালকের মতো
৫/ এরা সহজেই বাতাস থেকে পরাগরেণু সংগ্রহ করে নিতে পারে
পানি পরাগী ফুলের বৈশিষ্ট্য :
১/ পানিপরাগী ফুল আকারে ক্ষুদ্র এবং হালকা
২/ এরা সহজেই পানিতে ভাসতে পারে
৩/ এসব ফুলের সুগন্ধ নেই
৪/ স্ত্রী পুষ্পের বৃন্ত লম্বা কিন্তু পুং পুষ্পের মত ছোট
৫/ পরিণত পুং পুষ্প বৃন্ত থেকে খুলে পানিতে ভাসতে থাকে এবং স্ত্রী পুষ্পের কাছে পৌঁছলে সেখানে পরাগায়ন ঘটে
প্রাণী পরাগী ফুলের বৈশিষ্ট্য :
১/ প্রাণী পরাগী ফুল মোটামুটি বড় হয়
২/ ফুল ছোট হলে ফুলগুলো পুষ্পমঞ্জরিতে সাজানো থাকে
৩/ এদের রং আকর্ষণীয় হয়
৪/ এসব ফুলে গন্ধ থাকতে পারে বা নাও থাকতে পারে
* উদ্ভিদের হ্যাপ্লয়েড দশকে বলা হয় গ্যামেটোফাইট।
* স্পোর বা রেনু গ্যামেটোফাইটের প্রথম কোষ
* মাইক্রোস্পোর বা পরাগরেণু থেকে সৃষ্টি হয় পুং গ্যামেটোফাইট
* মেগাস্পোর বা স্ত্রী রেনু থেকে সৃষ্টি হয়েছে স্ত্রী গ্যামেটোফাইট
পুং গ্যামেটোফাইট
পরাগরেণু পরাগনালিকা নালিকা নিউক্লিয়াস ও দুটি পুং গ্যামেট কে একত্রে পুং গ্যামেটোফাইট বলে
পুং গ্যামেটোফাইট এর বিকাশ বিস্তারিত এখানে
স্ত্রী গ্যামেটোফাইট
ভ্রুনথলি এবং তার মাঝে অবস্থিত ডিম্বাণু সহকারি কোষ গৌন কেন্দ্রিকা ও প্রতিপাদ কোষকে একত্রে স্ত্রী গ্যামেটোফাইট বলে
স্ত্রী গ্যামেটোফাইট এর বিকাশ বিস্তারিত এখানে
নিষেক : fertilization
পুং জনন কোষ শুক্রাণু এবং স্ত্রী জনন কোষ ডিম্বাণুর মিলনকে নিষেক বলে
দ্বিনিষেক : Double fertilization
প্রায় একই সময়ে দুটি পূং জনন কোষের একটি ডিম্বানুর সাথে এবং অপরটি গৌণ কেন্দ্রিকার এর সাথে মিলিত হওয়াকে দ্বিনিষেক বলে
সস্য : Endosperm
গৌণ কেন্দ্রিক এর সাথে একটি পূর্ণ জনন কোষ মিলনের ফলে যে ট্রিপ্লয়েড কোষ সৃষ্টি হয় তাকে শস্য কোষ বলে। সস্য কোষ মাইটোসিস প্রক্রিয়ায় বিভাজিত হয়ে যে টিস্যু সৃষ্টি হয় তাকে সস্যটিস্যু বলে
সস্য ট্রিপ্লয়েড অর্থাৎ এর কোষে ৩সেট ক্রোমোজোম বিদ্যমান
নতুন স্পোরোফাইট গঠন
উদ্ভিদের ডিপ্লয়েড দশাকে স্পোরোফাইট বলে। স্পোরোফাইট উদ্ভিদে স্পোর বা রেনু সৃষ্টি হয়
জাইগোট স্পোরোফাইটের প্রথম কোষ
জাইগোটের প্রথম বিভাজনে দুইটি কোষ সৃষ্টি হয়-
১/ ভিত্তি কোষ - ডিম্বকরন্ধ্র দিকে থাকে। এই কোষ বিভাজিত হয়ে ভ্রুন ধারক গঠিত হয়
২/ এপিক্যাল কোষ - ভ্রুনথলির কেন্দ্রের দিকে থাকে। এই কোষ বিভাজিত হয়ে ভ্রুন গঠিত হয়
উদ্ভিদের ভ্রূণের তিনটি অংশ - ভ্রুণমূল ভ্রুনকান্ড ও বীজপত্র
একবীজপত্রী উদ্ভিদের ভ্রুনে ১টি বীজপত্র থাকে
দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের ভ্রুনে বীজপত্র থাকে 2 টি
নিষেকের পর ডিম্বক বীজে পরিণত হয়। সেই বীজের ভিতরে থাকে ভ্রুন ও সস্য
বীজের অঙ্কুরোদগম এর ফলে ভ্রুন থেকে চারা সৃষ্টির মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ স্পোরোফাইট উদ্ভিদ সৃষ্টি হয়
ফলের উৎপত্তি
নিষেকের পর গর্ভাশয় কলে পরিণত হয়
প্রকৃত ফল :
শুধু ফুলের গর্ভাশয় পুষ্ট হয়ে যে ফল সৃষ্টি হয় তাকে প্রকৃত ফল বলে
অপ্রকৃত ফল :
গর্ভাশয় সহ ফুলের অন্যান্য অংশ পুষ্ট হয়ে যখন ফলে পরিণত হয় তখন তাকে অপ্রকৃত ফল বলে। যেমন চালতা আপেল ইত্যাদি
প্রাণীর প্রজনন : Animal Reproduction
নিষেক : Fertilization
দুই প্রকার বিপরীতধর্মী জনন কোষ শুক্রানু ও ডিম্বানুর মিলনকে নিষেক বলে ।
অন্ত:নিষেক : Internal fertilization
শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলন প্রাণী দেহের অভ্যন্তরে সংঘটিত হলে তাকে বলা হয় অন্তঃনিষেক। সরীসৃপ, পাখি ও স্তন্যপায়ী প্রাণীর অন্তঃনিষেক হয়
বহিঃনিষেক : External fertilization
শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলন প্রাণী দেহের বাইরে অর্থাৎ পরিবেশে সংঘটিত হলে তাকে বলা হয় বহিঃনিষেক। মাছ ও ব্যাঙের বহিঃনিষেক হয়।
হাঙ্গর মাছের অন্ত:নিষেক হয় এবং তারা বাচ্চা প্রসব করে
নিষেকের কয়েকটি মৌলিক তাৎপর্য :
১/ নিষেক ভ্রুনে ডিপ্লয়েড ক্রোমোজোম সংখ্যাকে পুনঃস্থাপিত করে।
উদ্ভিদ ও প্রাণী ডিপ্লয়েড কিন্তু জনন কোষ শুক্রাণু ও ডিম্বাণু হ্যাপ্লয়েড। এই শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলনের মাধ্যমে আবার ডিপ্লয়েড জাইগোট সৃষ্টি হয়। এরপর সেই জাইগোট বিভাজিত হয় ডিপ্লয়েড ভ্রুণ সৃষ্টি হয়
২/ ডিম্বাণু কে পরিস্ফুটন এর জন্য সক্রিয় করে তোলে।
ডিম্বাণু বিভাজিত হয় না কিন্তু শুক্রাণু দ্বারা ডিম্বাণু নিষিক্ত হওয়ার পরেই জাইগোটে বিভাজন শুরু হয়
৩/ ক্রোমোজোম কর্তৃক বহনকৃত পিতা-মাতার বৈশিষ্ট্যগুলোকে একত্রিত করে ভ্রূণের লিঙ্গ নির্ধারণ করে।
পিতার X ক্রোমোজোম এবং মাতার X ক্রোমোজোম মিলিত হলে কন্যা সন্তান হয়। আবার পিতার Y ক্রোমোজোম এবং মাতার X ক্রোমোজোম মিলিত হলে পুত্র সন্তান হয়। নিষেকের মাধ্যমেই ক্রোমোজোমের এই মিলন সম্পন্ন হয় এবং সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারিত হয়
মানব প্রজননে হরমোনের ভূমিকা :
অন্ত:ক্ষরা গ্রন্থি :
যেসব গ্রন্থির কোনো নালী নেই, তাই নি:সৃত পদার্থ রক্ত বা লসিকার মাধ্যমে পরিবাহিত হয়, তাদেরকে অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি বলে। যেমন
পিটুইটারি :
মস্তিষ্কের তলদেশে অবস্থিত একটি ক্ষুদ্র গ্রন্থ। ইহা সবচেয়ে বেশি হরমোন নিঃসৃত করে এবং অন্যান্য গ্রন্থির হরমোন নিঃসরণকে নিয়ন্ত্রণ করে, তাই পিটুইটারি গ্রন্থির রাজা বলা হয়
থাইরয়েড :
গলায় অবস্থিত প্রজাপতি আকৃতির একটি গ্রন্থি।
এড্রেনাল :
দুই বৃক্কের উপর অবস্থিত দুটি গ্রন্থি। বৃক্কের উপর অবস্থিত হওয়ায় এই গ্রন্থির অন্য নাম সুপ্রারেনাল
শুক্রাশয় : Testis
পুরুষের Scrotum এর ভিতরে অবস্থিত দুটি গ্রন্থি
ডিম্বাশয় : Ovary
মহিলাদের তলপেটে জরায়ুর দুই পাশে অবস্থিত দুটি গ্রন্থি
অমরা : Placenta
গর্ভাবস্থায় জরায়ুর ভিতরে এই অস্থায়ী অঙ্গ ও গ্রন্থি সৃষ্টি হয়।সন্তান প্রসবের পর ইহা জরায়ু থেকে বের হয়ে আসে
হরমোন :
অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত যে জৈব রাসায়নিক পদার্থ রক্তের মাধ্যমে পরিবাহিত হয়ে দেহের বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়ান্তকলাপ সম্পাদন করে তাকে হরমোন বলে। যেমন টেস্টোস্টেরন, ইস্ট্রোজেন, প্রজেস্টেরন, রিলাক্সিন ইত্যাদি
* পিটুইটারি থেকে নি:সৃত হয় -
১/ বৃদ্ধি উদ্দীপক হরমোন (FSH)
২/ উৎপাদক হরমোন (GH)
* থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয় থাইরক্সিন হরমোন
* এড্রেনাল গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয় অ্যাড্রেনালিন হরমোন
* শুক্রাশয় থেকে নিঃসৃত হয় টেস্টোস্টেরন ও এন্ড্রোজেন হরমোন
* ডিম্বাশয় থেকে নিঃসৃত হয় ইস্ট্রোজেন, প্রজেস্টেরন ও রিলাক্সিন হরমোন
* অমরা থেকে নিঃসৃত হয় গোনাডোট্রপিন ও প্রজেস্টেরন হরমোন
বয়:সন্ধিকাল :
কৈশোর ও তারুণ্যের সন্ধিকালকেই বয়সন্ধিকাল বলে
ভ্রূণের বিকাশ :
জাইগোট :
শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলনের ফলে যে ডিপ্লয়েড কোষ সৃষ্টি হয় তাকে জাইগোট বলে
ভ্রুন : Embryo
বিভাজন রত জাইগোটকে ভ্রুন বলে।
জাইগোটের প্রথম বিভাজনে দুইটি কোষ উৎপন্ন হয়। এটি সবচেয়ে ছোট এবং দুই কোষী ভ্রুন। পুনরায় বিভাজনের ফলে চারটি কোষ উৎপন্ন হয়। এটি চার কোষী ভ্রুন
ক্লিভেজ : Cleavage
জাইগোটের বিভাজন কে ক্লিভেজ বলে
ব্লাস্টোসিস্ট : Blastocyst
ভ্রুনের যে দশায় কোষগুলো একটি স্তরে সজ্জিত হয়ে ফাপা বলের ন্যায় আকৃতি ধারণ করে তাকে ব্লাস্টোসিস্ট বল
Implantation :
ভ্রুন ব্লাস্টোসিস্ট দশায় জরায়ুর দেয়ালের সাথে যুক্ত হওয়াকে ইমপ্লান্টেশন বা গর্ভধারণ বলে
অমরা : Placenta
যে বিশেষ অঙ্গের মাধ্যমে মাতৃ জরায়ুতে ক্রমবর্ধমান ভ্রুন এবং মাতৃ জরায়ুর টিস্যুর মধ্যে সম্পর্ক স্থাপিত হয়, তাকে অমরা বা গর্ভফুল বলে
অমরার কাজ :
১/ অমরার সাহায্যে ভ্রুন জরায়ুর সাথে যুক্ত হয়
২/ ভ্রুনের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান যথা শর্করা, আমিষ, স্নেহ, পানি এবং খনিজ লবণ ইত্যাদি অমরার মাধ্যমে মায়ের রক্ত থেকে ব্রুণের রক্তে প্রবেশ করে
৩/ অমরার মাধ্যমে ভ্রুন মায়ের রক্ত থেকে অক্সিজেন গ্রহণ এবং ব্রণে থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড এর বিনিময় ঘটে। এইভাব অমরা ফুসফুসের মতো কাজ করে
৪/ বিপাক এর ফলে যে বর্জ্য পদার্থ উৎপন্ন হয় তা অমরার মাধ্যমে ব্রণের দেহ থেকে অপসারিত হয় এইভাবে আমরা বৃক্কের মতো কাজ করে
৫/ অমরায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ হরমোন তৈরি হয় যেগুলো ভ্রুনের রক্ষণাবেক্ষণ ও তার স্বাভাবিক গঠনে সাহায্য করে
৬/ অমরা থেকে নিঃসৃত হরমোন মাতৃদুগ্ধ উৎপাদন এবং প্রসব সহজ করতে সহায়তা করে
প্রজনন সংক্রান্ত রোগ
যে সকল রোগ যৌনমিলনের মাধ্যমে একজনের দেহ থেকে অন্য জনের দেহে স্থানান্তরিত হয় সেগুলোকে যৌন বাহিত রোগ বা সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিজ (STD) বলে। যেমন গনোরিয়া, সিফিলিস, AIDS ইত্যাদি
AIDS :
AIDS এর পূর্ণ রূপ - Acquired Immune Deficiency Syndrome
ইহা একটি ভাইরাসঘটিত রোগ। এর ভাইরাসের নাম HIV
HIV এর পূর্ণরূপ - Human Immunodeficiency Virus
HIV একটি RNA ভাইরাস
AIDS আবিষ্কৃত হয়েছিল 1981 সালে
AIDS এর কারণ
১/ অনিরাপদ যৌনমিলন
২/ এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত সঞ্চালন
৩/ এইডস আক্রান্ত মায়ের গর্ভধারণ
৪/ এইডস আক্রান্ত মায়ের দুধ পান
৫/ এইচআইভি জীবাণুযুক্ত ইনজেকশনের সিরিঞ্জ, সূচ, ব্লেড ব্যবহার
৬/ এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির অঙ্গ প্রতিস্থাপন
AIDS এর লক্ষণ
১/ দ্রুত রোগীর ওজন কমতে থাকে
২/ এক মাসেরও বেশি সময় ধরে একটানা জ্বর
৩/ এক মাস বা তারও বেশি সময় ধরে পাতলা পায়খানা
৪/ অনেকদিন ধরে শুকনো কাশি হতে থাকে
৫/ ঘাড় এবং বগলে ব্যথা অনুভব হয়
৬/ মুখমন্ডল খসখসে হয়ে যায়
৭/ মুখমন্ডল চোখের পাতা নাক ইত্যাদি অঙ্গ হঠাৎ ফুলে যায় এবং সহজে এই ফোলা কমে না
৮/ সারা দেহে চুলকানি হয়
আরও দেখুন - Chapter 12 Notes
Website: Biology Helpline
স্বাস্থ্য সুরক্ষায়