নগ্নবীজী উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য
১/ উদ্ভিদ বহুবর্ষজীবী, চিরসবুজ, স্পোরোফাইট অসমরেণুপ্রসু অর্থাৎ মাইক্রোস্পোর ও মেগাস্পোর তৈরি হয়।
গ্যামেটোফাইট = লিঙ্গধর উদ্ভিদ
গ্যামেটোফাইট : উদ্ভিদের হ্যাপ্লয়েড দশাকে বলা হয় গ্যামেটোফাইট । গ্যামেটোফাইট বা লিঙ্গধর উদ্ভিদে গ্যামেট বা জনন কোষ সৃষ্টি হয় ।
স্পোরোফাইট = রেনুধর উদ্ভিদ
উদ্ভিদের ডিপ্লয়েড দশাকে বলা হয় স্পোরোফাইট। স্পোরোফাইট বা রেনুধর উদ্ভিদে স্পোর বা রেনু সৃষ্টি হয়
স্পোর : স্পোর হলো অযৌন প্রজনন সম্পাদনকারী একক
স্পোরাঞ্জিয়াম : যে অঙ্গে স্পোর উৎপন্ন হয়
সোরাস : স্পোরাঞ্জিয়ামের গুচ্ছকে সোরাস বলে
স্পোরোফিল : স্পোরাঞ্জিয়ামকে যে ধারন করে
মাইক্রোস্পোরোফিল = পুংরেনুপত্র
মেগাস্পোরোফিল = স্ত্রীরেনুপত্র
২/ রেনুপত্র অর্থাৎ স্পোরোফিলগুলো ঘনভাবে সন্নিবেশিত হয়ে স্ট্রোবিলাস বা কোন তৈরি করে।
স্ট্রোবিলাস : নগ্নবীজী উদ্ভিদে রেনুপত্রগুলো একত্রে যে মোচার ন্যায় গঠন সৃষ্টি করে, তাকে স্ট্রোবিলাস বা কোন বলে
৩/ মেগাস্পোরোফিল-এ কোন গর্ভাশয় তৈরি হয় না অর্থাৎ এদের গর্ভাশয়, গর্ভদণ্ড ও গর্ভমুণ্ড নেই।
৪/ পরাগায়নকালে পরাগরেণু সরাসরি ডিম্বক রন্ধ্রে পতিত হয়
৫/ ডিম্বক মেগাস্পোরোফিল এর কিনারায় নগ্ন অবস্থায় থাকে
৬/ গর্ভাশয় নেই তাই এদের কোন ফল সৃষ্টি হয় না।
৭/ ফল সৃষ্টি হয় না বলে বীজ নগ্ন অবস্থায় থাকে।
৮/ নগ্নবীজী উদ্ভিদে দ্বিনিষেক ঘটে না। তাই শ্বাস হ্যাপ্লয়েড এবং নিষেকের পূর্বে সৃষ্টি হয়।
৯/ জাইলেম টিস্যুতে সত্যিকারের ভেসেল কোষ থাকে না।
১০/ সকলেই বায়ু পরাগী ।
১১/ জীবনচক্রে অসম আকৃতির জনুক্রম বিদ্যমান।
হেটেরোমর্ফিক জনুক্রম :
কোন জীবের জীবনচক্রে হ্যাপ্লয়েড ও ডিপ্লয়েড দশার আকার আকৃতি যদি ভিন্ন রকম হয় তাহলে তাদের পর্যায়ক্রমিক আবর্তনকে হেটেরোমর্ফিক জনুক্রম বলে। যেমন - মস, ফার্ন, নগ্নবীজী ও আবৃতবীজী উদ্ভিদের জনুক্রম
১২/ সাধারণত আর্কিগোনিয়া সৃষ্টি হয়।
আর্কিগোনিয়াম : অপুষ্পক উদ্ভিদের স্ত্রী জননাঙ্গ। এর মধ্যে ডিম্বাণু উৎপন্ন হয়।
১৩/ Leaf scar নগ্নবীজী উদ্ভিদের একটি ভিন্নধর্মী বৈশিষ্ট্য ।
Leaf scar : কান্ড থেকে পাতা ঝরে পড়ার পর কান্ডের গায়ে যে চিহ্ন থাকে তাকে Leaf scar বলে।
সহবাসী (Monoecious) : দুই প্রকার জনন কোষ একই দেহে উৎপন্ন হয়
ভিন্নবাসী (Diecious) : দুই প্রকার জনন কোষ ভিন্ন ভিন্ন দেহে উৎপন্ন হয়
জাইগোট স্পোরোফাইটের প্রথম কোষ। অর্থাৎ জাইগোট থেকে স্পোরোফাইটে সৃষ্টি হয় ।
স্পোর বা রেনু গ্যামেটোফাইটের প্রথম কোষ।অর্থাৎ স্পোর থেকে গ্যামেটোফাইট সৃষ্টি হয় ।