HSC Biology 1st paper chapter 4  Question and Answer

 Biology 1st paper chapter 4

অনুজীব নোট

 

 Biology 1st paper chapter 4 MCQ

 

যেসকল জীব খালি চোখে দেখা যায় না, দেখার জন্য অনুবীক্ষন যন্ত্রের প্রয়োজন হয়, তাদেরকে অনুজীব বলে।

অনুজীব ৩ প্রকার - 

১/ অকোষীয় অনুজীব। যেমন - ভাইরাস
২/ আদিকোষী অনুজীব। যেমন - ব্যাকটেরিয়া
৩/ প্রকৃতকোষী অনুজীব। যেমন - ম্যালেরিয়ার জীবানু 

ভাইরাস (Virus)

ভাইরোলজি

জীববিজ্ঞানের যে শাখায় ভাইরাস নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা ও গবেষনা করা হয়

ভাইরোলজির জনক W. M. Stanley 

ভাইরাসের বৈশিষ্ট্য

ভাইরাসের মধ্যে জীব এবং জড় উভয়ের বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান

ভাইরাসের গঠন : 

ক্যাপসিড : 

ভাইরাসের কেন্দ্রিয় বস্তু নিউক্লিক এসিডকে ঘিরে অবস্থিত প্রোটিন আবরন


ক্যাপসোমিয়ার : 

ক্যাপসিডের গাঠনিক একক


এনভেলপ : 

কিছু কিছু ভাইরাসে ক্যাপসিডের বাইরে ক্যাপসিডকে ঘিরে অবস্থিত লিপোপ্রোটিনের আবরন


পেপলোমিয়ার : 

এনভেলপের গাঠনিক একক


ভাইরাসের পরজীবীতা : 


ইমার্জিং ভাইরাস

যেসব ভাইরাস আদি পোষক থেকে পরে নতুন পোষক প্রজাতিতে রোগ সৃষ্টি করে


ভিরিয়ন

সংক্রমন ক্ষমতা সম্পন্ন একটি পূর্নাঙ্গ ভাইরাস


ভিরয়েড : 

সংক্রমন ক্ষমতাসম্পন্ন এক সুত্রক RNA অনু


প্রয়ন : 

নিউক্লিক এসিডবিহীন সংক্রমন ক্ষমতাসম্পন্ন প্রোটিন আবরন


ব্যাকটেরিওফায

যেসব ভাইরাস ব্যাকটেরিয়াকে আক্রমন করে এবং ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে


T2 ব্যাকটেরিওফাজ :

ব্যাকটেরিওফাজ : যে ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করে এবং ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে তাকে ব্যাকটেরিওফাজ বলে

ভাইরাসের অর্থনৈতিক গুরুত্ব :

ভাইরাসঘটিত রোগসমূহ : 

মানুষের রোগ : 
বসন্ত, 
হাম, 
পোলিও, 
জলাতঙ্ক, 
ইনফ্লুয়েঞ্জা, 
হারপিস, 
ডেঙ্গু, 
চিকুনগুনিয়া, 
কোভিড-১৯, 
ভাইরাল হেপাটাইটিস 

উদ্ভিদের রোগ : সিমের মোজাইক, আলুর লিফরোল, পেঁপের লিফকার্ল, ক্লোরোসিস, ধানের টুংরো 

প্রাণীর রোগ : গরুর বসন্ত, গরু ভেড়া ছাগল মহিষ ইত্যাদি প্রাণীর ফুট অ্যান্ড মাউথ রোগ, খুরা রোগ, মানুষ কুকুর ও বিড়ালের জলাতঙ্ক 


ভাইরাল হেপাটাইটিস :

যকৃতের প্রদাহ কে হেপাটাইটিস বলে 

ভাইরাসের সংক্রমণে যকৃতের প্রদাহ হলে তাকে ভাইরাল হেপাটাইটিস বলে 

পাঁচ প্রকার ভাইরাসের সংক্রমণে ভাইরাল হেপাটাইটিস হয়ে থাকে 
হেপাটাইটিস A ভাইরাস HAV
হেপাটাইটিস B ভাইরাস HBV
হেপাটাইটিস C ভাইরাস HCV
হেপাটাইটিস D ভাইরাস HDV
হেপাটাইটিস E ভাইরাস HEV 

হেপাটাইটিস ভাইরাসগুলোর মধ্যে শুধু হেপাটাইটিস-B ভাইরাসটি DNA ভাইরাস । বাকি সবগুলো RNA ভাইরাস 

ইনকিউবেশন পিরিয়ড বা সুপ্তিকাল : 

পোষক দেহে পরজীবী প্রবেশের পর থেকে রোগের লক্ষণ প্রকাশ পাওয়া পর্যন্ত সময়কে ইনকিউবেশন পিরিয়ড বা সুপ্তিকাল বলে

ডেঙ্গু জ্বর

ডেঙ্গু জ্বর হয় ডেঙ্গী ভাইরাস বা ফ্ল্যাভি ভাইরাসের সংক্রমণে। 
ফ্ল্যাভি ভাইরাস একপ্রকার RNA ভাইরাস 
এই ভাইরাসের বাহক হল এডিস মশকী

পেপের রিংস্পট বা মোজাইক রোগ

পেঁপের রিং স্পট রোগ হয় PRSV নামক ভাইরাসের সংক্রমণে। 
PRSV = Papaya Ringspot Virus 
এটি একটি আরএনএ ভাইরাস
এই ভাইরাসের বাহক হল জাব পোকা ও সাদা মাছি 

ব্যাকটেরিয়া 

ব্যাকটেরিয়া এক প্রকার আদিকোষী অনুজীব।

জীববিজ্ঞানের যে শাখায় ব্যাকটেরিয়া নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে ব্যাকটেরিওলজি বলে।

ব্যাকটেরিওলজির জনক অ্যান্টনি ভ্যান লিউয়েনহুক 


ব্যাকটেরিয়ার শ্রেনিবিভাগ


কোষের আকৃতি অনুসারে 

১/ কক্কাস - গোলাকার
২/ ব্যাসিলাস - দন্ডাকৃতির
৩/ কমাকৃতি বা ভিব্রিও 
৪/ স্পাইরিলাম 
৫/ বহুরূপী 
৬/ স্টিলেট বা তারকাকার 
৭/ বর্গাকৃতির 
৮/ ফিলামেন্টাস 


রঞ্জন ভিত্তিক শ্রেণীবিন্যাস 

১/ গ্রাম পজিটিভ ব্যাকটেরিয়া

এদের কোষপ্রাচীর পুরু। রঞ্জিত করলে এরা রং ধারণ করে। 

২/ গ্রাম নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়া

এদের কোষপ্রাচীর পাতলা। রঞ্জিত করার পর কোষপ্রাচীর রঙ ধরে রাখতে পারেনা। 

ব্যাকটেরিয়াকে রঞ্জিত করার প্রক্রিয়া আবিষ্কার করেন ডেনিস চিকিৎসক Hans Christian Gram 1884 সালে


ফ্লাজেলার ভিত্তিতে শ্রেণীবিন্যাস 

১/ এট্রিকাস : এদের ফ্লাজেলা নেই 
২/ মনোট্রিকাস : এদের কোষের একপন্তে একটিমাত্র ফ্লাজেলা থাকে
৩/ অ্যাম্ফিট্রিকাস : এদের কোষের দুই প্রান্তে একটি করে ফ্লাজেলা থাকে 
৪/ সেফালোট্রিকাস : এদের কোষের একপ্রান্তে একগুচ্ছ ফ্লাজেলা থাকে
৫/ লফোট্রিকাস : এদের কোষের দুই প্রান্তে একগুচ্ছ করে ফ্লাজেলা থাকে 
৬/ পেরিট্রিকাস : এদের দেহের সব দিকেই ফ্লাজেলা থাকে


মানুষের রোগ :
যক্ষা 
নিউমোনিয়া 
টাইফয়েড 
কলেরা 
ডিপথেরিয়া 
আমাশয় 
ধনুষ্টংকার 
হুপিং কাশি 
অ্যানথ্রাক্স 
মেনিনজাইটিস 
কুষ্ঠ রোগ 
গনোরিয়া 
সিফিলিস

ধানের ব্লাইট রোগ


ধানের ব্লাইট রোগের জীবাণুর বৈজ্ঞানিক নাম Xanthomonas oryzae 
ইহা একটি গ্রাম নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়া 

কলেরা : 


কলেরা জীবানুর বৈজ্ঞানিক নাম Vibrio cholerae 
ইহা একটি গ্রাম নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়া

ম্যালেরিয়া পরজীবী 

ম্যালেরিয়া পরজীবীর গন নাম-  Plasmodium
এর প্রায় ৬০ টি প্রজাতি আছে

৪ টি প্রজতি মানুষের শরীরে রোগ সৃষ্টি করে- 
1. Plasmodium vivax
2. Plasmodium malariae
3. Plasmodium ovale
4. Plasmodium falciparum

মানবদেহে জীবন চক্র

সাইজোগনি : 

ম্যালেরিয়ার জীবাণু মানুষের শরীরে যে ও যৌন জীবন চক্র সম্পন্ন করে তাকে সাইজোগনি বলে। 

সাইজোগনি মানবদেহের দুই জায়গায় সম্পন্ন হয় - যকৃতে ও লোহিত রক্ত কণিকায় 


হেপাটিক সাইজোগনি

ম্যালেরিয়ার জীবাণু মানুষের যকৃতে যে অযৌন জীবন চক্র সম্পন্ন করে তাকে হেপাটিক সাইজোগনি বলে। 

এরিথ্রোসাইটিক সাইজোগনি : 

ম্যালেরিয়ার জীবাণু মানুষের লোহিত রক্ত কণিকায় যে অযৌন জীবন চক্র সম্পন্ন করে তাকে এরিথ্রোসাইটিক সাইজোগনি বলে।


মশকীর দেহে জীবন চক্র  


গেমিটোগনি

ম্যালেরিয়ার জীবাণু মোশারফ এর ভিতর যে যৌন প্রজনন সম্পন্ন করে তাকে গ্যামিটোগনি বলে। 

স্পোরোগনি

ম্যালেরিয়ার জীবাণু মশকীর ক্রপের বাইরের দেয়ালে যে অযৌন জনন সম্পন্ন করে তাকে স্পোরোগনি বলে

গ্যামেটোজেনেসিস

গ্যামেট বা জনন কোষ সৃষ্টির প্রক্রিয়া

স্পার্মাটোজেনেসিস

শুক্রাণু সৃষ্টির প্রক্রিয়া

এক্সফ্লাজেলেশন

মশকীর ক্রপের ভিতরে মাইক্রোগ্যামেটোসাইট থেকে যে বিশেষ প্রক্রিয়ায় শুক্রাণু সৃষ্টি হয়

উওজেনেসিস : 

ডিম্বাণু সৃষ্টির প্রক্রিয়া

জনুক্রম

কোন জীবের জীবন চক্রে হ্যাপ্লয়েড ও ডিপ্লয়েড দশার পর্যায়ক্রমিক আবর্তনকে জনুক্রম বলে। 

ম্যালেরিয়ার জীবাণুর জীবন চক্রের তিনটি দশা ডিপ্লয়েড - জাইগোট, উওকিনেট ও উওসিস্ট 

 


আরও জানার জন্য -

YouTube :
Biology Helpline
 
Face Book :  Biology Helpline

Website:  Biology Helpline

 

স্বাস্থ্য সুরক্ষায়

 
 
Facebook :  Classical Homeo Hall
#biologyhelpline
 

virus structure and function, virus structure diagram, viral infection, virus infection system, bacteria structure, bacterial infection, bacterial disease, malaria parasite, malaria symptoms, malaria treatment