Biology 2nd paper chapter 5
শ্বসন ও শ্বাসক্রিয়া নোট
2nd paper chapter 5 MCQ
শ্বসন :
যে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় জীব কোষ মধ্যস্থ খাদ্যবস্তুকে জারিত করে খাদ্যের স্থিতিশক্তিকে তাপ ও গতিশক্তিরূপে মুক্ত করে এবং উপজাত পদার্থ হিসেবে কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও পানি উৎপন্ন করে তাকে শ্বসন বলে।
সবাত শ্বসন : Aerobic Respiration
যে শ্বসন প্রক্রিয়ায় অক্সিজেনের প্রয়োজন হয় এবং শ্বসনিক বস্তু সম্পূর্ণরূপে জারিত হয়ে কার্বন ডাই অক্সাইড
পানি এবং বিপুল পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন হয় তাকে সবাত শ্বসন বলে
অবাত শ্বসন : Anaerobic Respiration
যে প্রক্রিয়ায় কোন শ্বসনিক বস্তু অক্সিজেনের সাহায্য ছাড়াই আংশিক জারিত হয়ে বিভিন্ন প্রকার জৈব যৌগ
কার্বন-ডাই-অক্সাইড এবং সামান্য পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন করে তাকে অবাত শ্বসন বলে
মানুষের শ্বসনতন্ত্র
শ্বাস নালীর দৈর্ঘ্য প্রায় ১২ সেন্টিমিটার এবং ব্যাস প্রায় দুই সেন্টিমিটার
শ্বাসনালীতে তরুণাস্থি আছে ১৬ -২০ টি
ব্রঙ্কাস
ট্রাকিয়ার শেষ প্রান্ত দুটি শাখায় বিভক্ত হয়ে দুই ফুসফুসে প্রবেশ করে এদেরকেই ব্রঙ্কাস (বহুবচনে ব্রংকাই) বলে।
হাইলাম :
ফুসফুসের যে অংশের ভিতর দিয়ে ব্রঙ্কাস ও রক্তনালী প্রবেশ করে তাকে হাইলাম বলে।
ব্রঙ্কিওল :
ফুসফুসের অভ্যন্তরে প্রতিটি ব্রঙ্কাস বারবার বিভক্ত হয়ে যে অসংখ্য ক্ষুদ্র নালি গঠন করে সেগুলোকে ব্রংকিওল বলে।
ফুসফুস
ডান ফুসফুস বড়। তার মধ্যে আছে ৩ টি লোব।
বাম ফুসফুস ছোট। তার মধ্যে আছে ২ টি লোব।
ফুসফুসের প্রতিটি লোব কতগুলো সেগমেন্টে বিভক্ত।
ডান ফুসফুস আছে ১০ টি সেগমেন্ট।
বাম ফুসফুসে আছে ৮ টি সেগমেন্ট।
প্রতিটি সেগমেন্ট আবার অসংখ্য লোবিওলে বিভক্ত ।
ফুসফুসের গাঠনিক এককের নাম অ্যালভিওলাস ( Alveolus)
শ্বসন বৃক্ষ : Bronchial tree or Respiratory tree
সমগ্র বায়ু নালী সিস্টেমকে দেখতে একটি উল্টানো বৃক্ষের মত দেখায় বলে একে ব্রংকিয়াল বৃক্ষ বা শ্বসন বৃক্ষ বলে।
প্রাইমারি ব্রঙ্কাস :
ট্রাকিয়া বিভক্ত হয়ে যে দুটি সৃষ্টি হয় সেগুলোকে বলা হয় প্রাইমারি ব্রঙ্কাস। প্রাইমারি ব্রঙ্কাস ফুসফুসে প্রবেশ করে।
সেকেন্ডারি ব্রঙ্কাস বা লোবার ব্রংকাস :
প্রাইমারি ব্রঙ্কাস বিভক্ত হয়ে যে শাখাগুলো সৃষ্টি হয় সেগুলো কে বলা হয় সেকেন্ডারি ব্রঙ্কাস। সেকেন্ডারি ব্রঙ্কাস ফুসফুসের প্রতিটি লোবে প্রবেশ করে। তাই সেকেন্ডারি ব্রঙ্কাস কে বলা হয় লোবার ব্রঙ্কাস। ডান ফুসফুস লোবার ব্রংকাস ৩ টি এবং বাম ফুসফুসে লোবার ব্রংকাস ২ টি।
টারশিয়ারি ব্রঙ্কাস বা সেগমেন্টাল ব্রঙ্কাস :
সেকেন্ডারি ব্রঙ্কাস বিভক্ত হয়ে যে শাখাগুলো সৃষ্টি হয় সেগুলোকে বলা হয় টারশিয়ারি ব্রঙ্কাস বা সেগমেন্টাল ব্রঙ্কাস। সেগমেন্টাল ব্রঙ্কাস সেগমেন্টে প্রবেশ করে। ডান ফুসফুস সেগমেন্টাল ব্রংকাস ১০টি এবং বাম ফুসফুসে সেগমেন্টাল ব্রঙ্কাস ৮টি।
ব্রংকিওল :
সেগমেন্টাল ব্রঙ্কাস বারবার বিভক্ত হয়েছে সূক্ষ্ম নালীর সৃষ্টি হয় সেগুলো কে ব্রংকিওল বলে। প্রতিটি ব্রংকিওল একেকটি লোবিওলে প্রবেশ করে।
সারফেকট্যান্ট ক্ষরিত হয় সেপটাল কোষ থেকে
অক্সিজেন পরিবহন
অক্সিজেন পরিবাহিত হয় ফুসফুস থেকে সারা দেহের দিকে।
এই পরিবহন দুই ভাবে সম্পন্ন হয় -
১/ ভৌত দ্রবণ রূপে
২/ রাসায়নিক যৌগ রূপে
কার্বন-ডাই-অক্সাইড পরিবহন
কার্বন ডাই অক্সাইড পরিবহন হয় সারা দেহ থেকে ফুসফুসের দিকে।
এই পরিবহন তিন ভাবে সম্পন্ন হয় -
১/ ভৌত দ্রবণ রূপে
২/ কার্বামিনো যৌগরূপে
৩/ বাইকার্বনেট রূপে
শ্বসনে শ্বাস রঞ্জক এর ভূমিকা
শ্বাস রঞ্জক :
যেসব রঞ্জক পদার্থ শ্বসন গ্যাস পরিবহন করে তাদেরকে শ্বাসরঞ্জক বলে। যেমন - হিমোগ্লোবিন, হিমোসায়ানিন
হিমোগ্লোবিন লাল, হিমোসায়ানিন নীল
শ্বসন গ্যাস :
শ্বসনে অক্সিজেন ব্যবহৃত হয় এবং কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপন্ন হয় তাই এই দুইটি গ্যাসকে শ্বসন গ্যাস বলে
প্যাথোজেন : Pathogen
কোন রোগ সৃষ্টিকারী পরজীবীকে ঐ রোগের প্যাথোজেন বলে।
সাইনোসাইটিস
সাইনাসের প্রদাহকে সাইনুসাইটিস বলে।
সাইনাস :
মাথার খুলিতে মুখমণ্ডলীয় অংশে নাসা গহবর এর দুই পাশে অবস্থিত বায়ু পূর্ণ ৪ জোড়া বিশেষ গহ্বরকে সাইনাস বা প্যারান্যাসাল সাইনাস বলে।
১/ ফ্রন্টাল সাইনাস- এক জোড়া
২/ ম্যাক্সিলারি সাইনাসে- এক জোড়া
৩/ এথময়েড সাইনাস- এক জোড়া
৪/ স্ফেনয়েড সাইনাস- এক জোড়া
ওটাইটিস মিডিয়া বা মধ্যকর্ণের সংক্রমণ
কানের ভিতরে বা বাইরে যে কোন অংশে সংক্রমণ জনিত প্রতারককে ওটাইটিস বলে।
মধ্যকর্ণে সংক্রমণ জনিত প্রদাহকে বলা হয় ওটাইটিস মিডিয়া।
ইউস্টেশিয়ান নালী :
গলবিল এর সাথে মধ্যকর্ণের সংযোগ স্থাপনকারী নালীটিকে ইউস্টেশিয়ান নালী বলে।
এমফাইসেমা :
অ্যালভিওলাসের দেয়াল ফেটে ফুসফুসের ভিতরে ফাঁকা স্থান সৃষ্টি হওয়া
উর:ফলক - Sternum
শ্বসনের মৌলিক ধারনা এই ভিডিওতে
respiration meaning in bengali, respiration meaning, respiration process, respiration definition, respiration reaction, respiration in humans, respiration in plants, respiration in animals, respiration in biology